নিজেই-শিক্ষানবিশ-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-করুন
নিজেই-শিক্ষানবিশ-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-করুন

নিজেই নিজের শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করুন

নিজেই নিজের শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করুন – আসসালামু আলাইকুম! আশা করি ভাল আছেন আর লাইকবিডির সাথে থাকা মানে আরো ভালো থাকা- আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে কিভাবে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন সেই ব্যাপারে আজকে আলোচনা করব।

কেন দরকার

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং থাকা মানে আপনি ড্রাইভিং শেখার পারমিশন পেয়ে যাবেন এরপরে শিক্ষানবিস দিয়ে লিখিত পরীক্ষা, ভাইবা এবং ফিল্ড টেস্ট দিতে পারবেন। যদি সফলভাবে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে কোন অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না শুধুমাত্র সরকারি ফি দিলেই আপনি লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। আমরা সাধারণত দালালের মাধ্যমে লাইসেন্স করি এবং অতিরিক্ত টাকা খরচ করি এটি না করে আমরা নিজেরাই ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই ধরনেরঃ

১. পেশাদার লাইসেন্স
২. অপেশাদার লাইসেন্স

কাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার যোগ্যতা আছেঃ

পেশাদার লাইসেন্স এর জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ২০ বছর হলে আবেদন করতে পারবে

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে দরকারি জিনিসপত্রঃ

১. অনলাইন আবেদন পূরণ করতে হবে।


– অনলাইনে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর ছবি দিতে হবে এবং ছবিটি সাইজ সর্বোচ্চ 150kb হতে হবে এর উপরের ছবি আপলোড হবে না।


২. মেডিকেল সার্টিফিকেট রেজিস্টারকৃত ডাক্তার হতে।

-মেডিকেল সার্টিফিকেট এর জন্য প্রথমে এই লিংক থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করবেন তারপর কোন রেজিস্টার কৃত ডাক্তার থেকে সত্যায়িত বা সার্টিফিকেট নিতে হবে। স্ক্যান করে বা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে আপলোড দিতে হবে এবং এর সাইজ সর্বনিম্ন রাখতে হবে 600kb নিচে।


৩.আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি।

-ন্যাশনাল আইডি বা জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ৬০০ কেবি সাইজ এর নিচে হতে হবে।


৪. নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে ।

প্রথম ক্যাটাগরি মোটরসাইকেল এর জন্য জমা দিতে হবে -৩৪৫/-টাকা ওএবং দ্বিতীয় ক্যাটাগরি মোটরসাইকেল এবং লাইট এর জন্য জমা দিতে হবে -৫১৮/-টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকগুলোতে।


৫.পাসপোর্ট সাইজের ছবি

ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল) আপনার কম্পিউটার থেকে বা মোবাইল থেকে ছবি আপলোড দিতে পারবেন।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ

বিআরটিএ এর অফিশিয়াল অনলাইন পোর্টাল লিঙ্ক হচ্ছেঃ https://bsp.brta.gov.bd/

এর পর আপনাকে অনলাইন পোর্টাল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা নিবন্ধন করতে হবে এবং ধোনের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন

বিআরটিএ ড্রাইভিং রেজিস্ট্রেশন ফর্ম
বিআরটিএ ড্রাইভিং রেজিস্ট্রেশন ফর্ম

রেজিস্ট্রেশন এ ক্লিক করলে আপনি উপরের মত একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম দেখতে পারবেন এর পরে আপনাকে গ্রাহকের নামের জায়গায় আপনার নিজের নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নাম্বর, ইমেইল আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আপনার মেইলে একটি কনফারমেশন ইমেইল পাবেন এবং ইমেইলটি কনফার্ম করলে আপনি অনলাইন পোর্টালে লগইন করার অ্যাক্সেস পেয়ে যাবেন।

এবার আপনি সফলভাবে অনলাইন পোর্টালে লগইন করতে পারবেন লগইন লিংক আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। সঠিক ভাবে লগইন হলে নিচের ছবিটির মত অনলাইন পোর্টালের ড্যাশবোর্ডে দেখতে পারবেন।

বিআরটিএ সেবা বাতায়ন ইউজার ড্যাসর্বোর্ড
বিআরটিএ সেবা বাতায়ন ইউজার ড্যাসর্বোর্ড

এরপর বামপাশের ড্রাইভিং লাইসেন্স মেনু থেকে শিক্ষানবিস লাইসেন্সের জন্য আবেদন এ ক্লিক করুন।

ওই লিংকে যাওয়ার পরে আপনার আকাঙ্ক্ষিত অনলাইন ফর্ম টি পেয়ে যাবেন এবং এটি সঠিকভাবে পূরণ করার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষানবিশ-ড্রাইভিং-লাইসেন্স সাবমিট করতে পারব।

শিক্ষানবিস লাইসেন্সের জন্য আবেদন
শিক্ষানবিস লাইসেন্সের জন্য আবেদন

এরপরে উপরের ছবির মত আপনি পাবেন শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম এখান থেকে আমাদের লাল স্টার মার্ক করা ফিল্ড গুলো অবশ্যই পুরন করতে হবেঃ

  1. ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ধরন পেশাদার এবং অপেশাদার এটি আমাদের সিলেট করতে হবে।
  2. ছবি ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)
  3. জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
  4. জন্ম তারিখ
  5. আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে
  6. পিতার  নাম ইংরেজি
  7. মাতার নাম ইংরেজীতে
  8. লিঙ্গ 
  9. রক্তের গ্রুপ
  10. শিক্ষাগত যোগ্যতা
  11. বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম, বিভাগ, জেলা, থানা
  12. স্থায়ী ঠিকানা 
  13. জাতীয়তা
  14. মোবাইল নাম্বার
  15. পরীক্ষা স্থান
  16. জরুরী যোগাযোগের বিবরণ -নাম, মোবাইল নাম্বার
  17. মোটরযানের শ্রেণি মোটরসাইকেল অথবা লাইট
  18. মেডিকেল সার্টিফিকেট
  19. জাতীয় পরিচয় পত্র
  20. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ

এখানে শুধু ২০ টি লাল মার্ক বা অবশ্যই পূরনীয় ফিল্ডগুলো দিয়েছি আপনারা বাকি গুলো পূরণ করবেন এরপরে সংরক্ষণে ক্লিক করবেন তাহলে আপনার আবেদনটি ডাটাবেজে চলে যাবে। এরপরে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন, ফি জমা দেয়ার পরে আপনারা রশিদ সংরক্ষণ করবেন ফি জমা দেয়ার পরেই আপনি আপনার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন এবং তারিখ অনুুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

আমার অভিজ্ঞতাঃ

আমি আবেদন করার পরে প্রায় ছয় মাস পরে পরীক্ষা দিয়েছি এবং একই দিনে লিখিত, ভাইবা এবং ফিল্ড টেস্ট হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ২০ মার্কএর পাশ হচ্ছে ১২ মার্কএ এবং ভাইবাতে ট্রাফিক চিহ্ন ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে এবং ফিল্ড টেস্ট এ ড্রাইভিং টেস্ট বা জিকজ্যাক পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।

সবাইকে ধন্যবাদ কষ্ট করে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আমি চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য যদি আমার পোষ্টটিতে যদি কোন ভুল থাকে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আবেদন করার নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা মূলক ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ

বিআরটিএ তে নিজে নিজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন কিভাবে

ইন্টারনেট বিষয়ে আরো জানতে আমাদের ক্যাটেগরি টি দেখুনঃ http://likebd.com/category/internet/

Hasan
প্রযুক্তির সাথে সামনে এগিয়ে যেতে আমার ক্ষুদ্র চেষ্টা । নিজের জ্ঞানকে মানুষের মাজে শেয়ার করার মাঝে খুজে পাই সুখ । তাই পোষ্ট ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি সাহায্য করার চেষ্টা করবো।